আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টির লাভের দোয়া
আল্লাহ তাআ'লার সন্তুষ্টি লাভের দোয়া:
رَضِيْتُ بِاللهِ رَبـاًّ، وَبِاْلإِسْلاَمِ دِيْنـًا، وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيـًّا
বাংলা উচ্চারণ: “রাদ্বীতু বিল্লাহি রব্বাওঁ ওয়াবিল ইসলামি দ্বীনাওঁ ওয়াবি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যা।”
ফজিলত: যে ব্যক্তি সকাল সন্ধ্যা তিনবার এ দোয়া পাঠ করবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা তাকে সন্তুষ্ট করবেন। -সুনানে তিরমিযী : ৩৩৮৯
জাহান্নাম থেকে মুক্তির দোয়া:
বাংলা উচ্চারণ:
“আল্লাহুম্মা আজিরনী মিনান্ নার।”
ফজিলত: যদি কেউ মাগরিবের নামাজ শেষ করে সাতবার এই দোয়াটি পাঠ করে এবং ঐ রাতেই তার মৃত্যু হয় তবে সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে। এমনিভাবে যদি ফজরের পর পাঠ করে এবং ঐ দিন তার মৃত্যু হয় তাহলে সে জাহান্নামে থেকে মুক্তি পাবে। -সুনানে আবু দাউদ: ৫০৭৯
সকল বালা-মুসিবত থেকে হেফাজতের দোয়া:
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلاَ فِي السّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ».
বাংলা উচ্চারণ: “বিসমিল্লাহিল্লাজী লা ইয়াদুররু মাআ’ছমিহী- শাইঊন ফিল আরদি ওয়ালা ফিছ্ছামাই ওয়াহু ওয়াছ ছামীউল আলীম।”
ফজিলত: হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা তিনবার উপরোক্ত দোয়াটি পাঠ করবে, আল্লাহ তা‘আলা তাকে আসমানি-যমিনি সকল মুসীবত থেকে হেফাজত করবেন। -সুনানে আবুদাউদ : ৫০৮৮
সকল দুশ্চিন্তা ও পেরেশানি থেকে মুক্তির দোয়া:
«حَسْبِيَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيهِ تَوَكَّلتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ»
বাংলা উচ্চারণ: “হাসবিআল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লা হুয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়াহুয়া রব্বুল আরশিল আজীম।” -সুরা তাওবা : ১২৯
ফজিলত: যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা এ আয়াতটি সাতবার পাঠ করবে তাকে সকল পেরেশানী থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আল্লাহ তা‘আলা যথেষ্ট হবেন। -সুনানে আবূ দাঊদ : ৫০৮১
মাখলুকের অনিষ্ট থেকে হেফাজতের দোয়া:
«أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ».
বাংলা উচ্চারণ: “আউযু বিকালিমা-তিল্লাহিত তা-ম্মা-তি মিন শাররি মা খালাক্ব।”
ফজিলত: যে ব্যক্তি সকাল-বিকাল উক্ত দোয়া তিনবার পাঠ করবে সে সকল কষ্টদায়ক প্রাণী থেকে হেফাজতে থাকবে। যদি বিষাক্ত কিছু তাকে দংশন করে তবুও তার কোন ক্ষতি হবে না। -সহিহ মুসলিম : ২৭০৯
বিশ লক্ষ নেকি লাভের দোয়া:
বাংলা উচ্চারণ: “লা-ইলাহা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা-শরীকালাহু আহাদুন সামাদুন লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।”
ফজিলত: হযরত আব্দুল্লাহ বিন আউফা রাদি. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি একবার এই কালিমা পাঠ করবে, আল্লাহ তা‘আলা তাকে বিশ লক্ষ নেকি দান করবেন । -মাজমাউয যাওয়ায়েদ : ১৬৮২৭
অবশ্য লক্ষ লক্ষ নেকী সম্পর্কে যে হাদীস সমূহ বর্ণিত রেয়েছে, সেসব হাদীসের অধিকাংশকে সনদ হিসেবে উলামায়ে কেরাম যঈফ (দুর্বল) বলেছেন।
হযরত তামীম দারী রাযি থেকে বর্ণিত,
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ الخَلِيلِ بْنِ مُرَّةَ، ﻋَﻦِ ﺍﻟْﺄَﺯْﻫَﺮِ ﺑْﻦِ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠﻪِ ، ﻋَﻦْ ﺗَﻤِﻴﻢٍ ﺍﻟﺪَّﺍﺭِﻱِّ، ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﻣَﻦْ ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺷْﻬَﺪُ ﺃَﻥْ ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻟَﺎ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ ، ﺇِﻟَﻬًﺎ ﻭَﺍﺣِﺪًﺍ ﺃَﺣَﺪًﺍ ﺻَﻤَﺪًﺍ، ﻟَﻢْ ﻳَﺘَّﺨِﺬْ ﺻَﺎﺣِﺒَﺔً ﻭَﻟَﺎ ﻭَﻟَﺪًﺍ، ﻭَﻟَﻢْ ﻳَﻜُﻦْ ﻟَﻪُ ﻛُﻔُﻮًﺍ ﺃَﺣَﺪٌ، ﻋَﺸْﺮَ ﻣَﺮَّﺍﺕٍ ﻛَﺘَﺐَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﻪُ ﺃَﺭْﺑَﻌِﻴﻦَ ﺃَﻟْﻒَ ﺃَﻟْﻒِ ﺣَﺴَﻨَﺔٍ ) ." ﻫَﺬَﺍ ﺣَﺪِﻳﺚٌ ﻏَﺮِﻳﺐٌ ، ﻻَ ﻧَﻌْﺮِﻓُﻪُ ﺇِﻻَّ ﻣِﻦْ ﻫَﺬَﺍ ﺍﻟﻮَﺟْﻪِ ، ﻭَﺍﻟﺨَﻠِﻴﻞُ ﺑْﻦُ ﻣُﺮَّﺓَ ﻟَﻴْﺲَ ﺑِﺎﻟﻘَﻮِﻱِّ ﻋِﻨْﺪَ ﺃَﺻْﺤَﺎﺏِ ﺍﻟﺤَﺪِﻳﺚِ ، ﻗَﺎﻝَ ﻣُﺤَﻤَّﺪُ ﺑْﻦُ ﺇِﺳْﻤَﺎﻋِﻴﻞَ : ﻫُﻮَ ﻣُﻨْﻜَﺮُ ﺍﻟﺤَﺪِﻳﺚِ ."
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি দশ বার নিম্নোক্ত দু'আ পড়বে, "আশহাদু আন-লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু,ইলাহান ওয়াহিদা, আহাদান, সামাদান, লাম ইয়াত্তাখিয সাহিবাতান ওয়ালা ওয়ালাদা,ওয়া লাম ইয়াকুন লাহু কুফুওয়ান আহাদা" - আল্লাহ তাআ'লা তার জন্য চার কোটি নেকী লিখে রাখবেন। ইমাম তিরমিযি রাহ বলেন, এটা সনদের দিক দিয়ে গারীব পর্যায়ের একটা হাদীস। তিনি বলেন, উপরোক্ত সনদ ব্যতীত অন্য কোনো সনদে এই হাদীস আমি পাইনি এবং খলিল ইবনে মুররাহ মুহাদ্দিসগণের নিকট তত শক্তিশালী নয়। ইমাম বোখারী রাহ. বলেন, খলিল ইবনে মুররাহ মুকারুল হাদীস রাবীদের অন্তর্ভুক্ত। -সুনানে তিরমিযি-৩৪৭৩ মসনদে আহমদ-১৬৯৫২ তাবারানি-১২৭৮
অন্য এক বর্ণনায় উপরোক্ত দু'আ পড়লে বিশ লাখ নেকির কথা বর্ণিত রয়েছে। -তারিখে ইবনে আসাকির-৩৮/২৯৯
হালাল রুজি ও ঋণ পরিশোধের দোয়া:
বাংলা উচ্চারণ: “আল্লাহুম্মাক ফিনী বিহালালিকা আন হারামিকা ওয়া আগনিনী বিফাদলিকা আম্মান ছিওয়াক।”
ফজিলত: কেউ যদি এই দোয়াটি পড়ে তাহলে তার ওপর পাহাড় পরিমাণ ঋণ থাকলেও আল্লাহ তা‘আলা তা আদায় করে দিবেন। -সুনানে তিরমিযি : ৩৫৬৩
ঋণ ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির আমল:
বাংলা উচ্চারণ: “আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিনাল হাম্মী, ওয়াল হুযনি, ওয়া আউযুবিকা মিনাল আজযি, ওয়াল কাছালি, ওয়া আউযুবিকা মিনাল বুখলি, ওয়াল জুবনি, ওয়া আউযুবিকা মিন গালাবাতিদ দাইনি, ওয়া ক্বাহরির রিজাল।”
ফজিলত: যে ব্যক্তি উক্ত দোয়াটি সকাল-সন্ধ্যা পাঠ করবে আল্লাহপাক তার সমস্ত ঋণ ও দুশ্চিন্তা দূর করে দিবেন। -সুনানে আবূদাউদ : ১৫৫৫
আয়াতুল কুরসী:
اَللّٰهُ لَآ اِلٰهَ اِلَّا ھُوَ ۚ اَلْـحَيُّ الْقَيُّوْمُ ڬ لَا تَاْخُذُهٗ سِـنَةٌ وَّلَا نَوْمٌ ۭ لَهٗ مَا فِي السَّمٰوٰتِ وَمَا فِي الْاَرْضِ ۭ مَنْ ذَا الَّذِيْ يَشْفَعُ عِنْدَهٗٓ اِلَّا بِاِذْنِهٖ ۭ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ اَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَھُمْ ۚ وَلَا يُحِيْطُوْنَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهٖٓ اِلَّا بِمَا شَاۗءَ ۚ وَسِعَ كُرْسِـيُّهُ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ ۚ وَلَا يَـــــُٔـــوْدُهٗ حِفْظُهُمَا ۚ وَھُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيْمُ ٢٥٥ ﴾.
বাংলা উচ্চারণ: “আল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লা- হুওয়াল হাইয়্যুল কায়্যূম, লা-তা’খুযুহু সিনাতুওঁ ওয়ালা নাউম। লাহু মা-ফিস্ সামাওয়াতি ওয়ামা ফিল্ আরদি, মান যাল্লাযী ইয়াশফাউ ইনদাহু ইল্লা বি ইয্নিহি। ইয়া’লামু মা- বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খল্ফাহুম ওয়ালা ইউহীতূনা বিশাইয়িম্ মিন ইল্মিহী ইল্লা- বিমা শা-আ। ওয়াসিআ কুরসিয়্যুহুস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদা ওয়ালা ইয়াঊদুহু হিফযুুহুমা,ওয়াহুওয়াল আলিয়্যুল আযীম।”
ফজিলত: হযরত আবু উমামা রাদি. থেকে বর্ণিত, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে, তার জান্নাতে প্রবেশ করায় মৃত্যু ব্যতীত আর কোন কিছু অন্তরায় থাকবে না। -মু‘জাম তাবারানি : ২৮২২
সকল অনিষ্ট ও বিপদাপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়:
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ﴿قُلْ هُوَ اللّٰهُ اَحَدٌ ۚ اَللّٰهُ الصَّمَدُ لَمْ يَلِدْ ڏ وَلَمْ يُوْلَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَّهٗ كُفُوًا اَحَدٌ ۧ﴾،
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ﴿قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ وَمِنْ شَرِّ غَاسِقٍ اِذَا وَقَبَ وَمِنْ شَرِّ النَّفّٰثٰتِ فِي الْعُقَدِ وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ اِذَا حَسَدَ ﴾،
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ﴿قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ مَلِكِ النَّاسِ اِلٰهِ النَّاسِ مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ ڏ الْخَنَّاسِ الَّذِيْ يُوَسْوِسُ فِيْ صُدُوْرِ النَّاسِ مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ ۧ﴾
আব্দুল্লাহ ইবনে খুবাইব রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা এক বর্ষণমুখর অন্ধকার রাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে খুঁজতে বের হলাম যেন তিনি আমাদের নিয়ে নামায পড়েন। তাঁর সাথে যখন সাক্ষাৎ হল তিনি বললেন, ‘قل’ বল। আমি নিশ্চুপ রইলাম। তিনি আবার বললেন, ‘قل ’ বল। আমি নিশ্চুপ রইলাম। তিনি আবার বললেন, ‘قل’ বল। আমি আরজ করলাম, আল্লাহর রাসূল! কী বলব? তিনি বললেন
قل هو اللَّه أحد ، والمعوذتين حين تمسي وحين تصبح ، ثلاث مرات تكفيك من كل شيء
‘কুল হুয়াল্লাহু আহাদ’ ও ‘মুয়াওয়াযাতাইন’ সন্ধ্যায় ও সকালে, তিনবার। এ (সূরাগুলো) সব কিছু থেকে তোমার হেফাযতের জন্য যথেষ্ট হবে। -মুসনাদে আহমাদ ৫/৩১২; সুনানে আবু দাউদ, আদব অধ্যায়; হাদীস ৫০৮২; জামে তিরমিযী, হাদীস ৩৫৭৫
ফায়েদা: এ হাদীসে পাওয়া গেল যে, সকাল-সন্ধ্যায় তিনবার করে সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পাঠ করা সকল অনিষ্ট ও বিপদাপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়।
সাইয়্যিদুল ইসতিগফার:
اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَّا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ، وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ، أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ، وَأَبُوءُ بِذَنْبِي فَاغْفِر لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ
বাংলা উচ্চারণ: “আল্লাহুম্মা আন্তা রাব্বী লা-ইলাহা ইল্লা আন্তা খালাক্বতানী ওয়া আনা আব্দুকা ওয়া আনা আলা- আহ্দিকা ওয়া ওয়া’দিকা মাস্তাতা’তু আঊ-যুবিকা মিন শাররী মা সানা’তু আবূউ লাকা বিনি’মাতিকা আলাইয়্যা ওয়া আবূউ বিযান্বি ফাগ্ফিরলী ফাইন্নাহু লা ইয়াগ্ফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আন্তা।”
ফজিলত: হযরত শাদ্দাদ বিন আওস রাদি. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে দিনের শুরুতে সাইয়্যিদুল ইস্তেসফার পাঠ করবে, সে ঐ দিনে ইন্তিকাল করলে জান্নাতী হবে, আর যদি সন্ধ্যায় পাঠ করে এবং এ রাতেই তার ইন্তিকাল হয়, তাহলে সে জান্নাতী হবে। -সহিহ বুখারী : ৬৩০৬
দুনিয়া ও আখিরাতের প্রশান্তির জন্য দোয়া (১ বার):
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ: فِي دِينِي وَدُنْيَايَ وَأَهْلِي، وَمَالِي، اللَّهُمَّ اسْتُرْ عَوْرَاتِي، وَآمِنْ رَوْعَاتِي، اللَّهُمَّ احْفَظْنِي مِنْ بَينِ يَدَيَّ، وَمِنْ خَلْفِي، وَعَنْ يَمِينِي، وَعَنْ شِمَالِي، وَمِنْ فَوْقِي، وَأَعُوذُ بِعَظَمَتِكَ أَنْ أُغْتَالَ مِنْ تَحْتِي».
বাংলা উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল ‘আফওয়া ওয়াল- ‘আ-ফিয়াতা ফিদ্দুনইয়া ওয়াল আ-খিরাতি। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল ‘আফওয়া ওয়াল-‘আ-ফিয়াতা ফী দ্বীনী ওয়াদুনইয়াইয়া, ওয়া আহ্লী ওয়া মা-লী, আল্লা-হুম্মাসতুর ‘আওরা-তী ওয়া আ-মিন রাও‘আ-তি। আল্লা-হুম্মাহফাযনী মিম্বাইনি ইয়াদাইয়্যা ওয়া মিন খালফী ওয়া ‘আন ইয়ামীনী ওয়া শিমা-লী ওয়া মিন ফাওকী। ওয়া আ‘ঊযু বি‘আযামাতিকা আন উগতা-লা মিন তাহ্তী।
ফায়দা: ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সন্ধ্যায় ও সকালে উপনীত হয়ে নিম্নোক্ত দোয়া পড়তেন। -আবূ দাউদ, নং ৫০৭৪; ইবন মাজাহ্, নং ৩৮৭১। আরও দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ্ ২/৩৩২, নাসায়ী ৫৫২৯, ৫৫৩০, তাখরীজুল কালিমুত তায়্যিব ২৭। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ, দোআ ও যিকির (হিসনুল মুসলিম)
বিষধর প্রানীর ক্ষতি থেকে নিরাপত্তার দোয়া (৩ বার):
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ
বাংলা উচ্চারণ: (আ‘ঊযু বি কালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মা-তি মিন শাররি মা খালাক্ব)।
ফযিলত ১: যে ব্যক্তি বিকাল বেলা এই দোয়াটি ৩ বার পড়বে, সে রাতে কোন বিষধর প্রানী তার ক্ষতি করতে পারবে না। -আহমাদ ২/২৯০, নং ৭৮৯৮; নাসাঈ, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, নং ৫৯০; ইবনুস সুন্নী, নং ৬৮; আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী ৩/১৮৭; সহীহ ইবন মাজাহ ২/২৬৬; তুহফাতুল আখইয়ার লি ইবন বায, পৃ. ৪৫, দোআ ও যিকির (হিসনুল মুসলিম)
ফযিলত ২: খাওলা বিনতুল হাকীম আস-সুলামিয়াহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন লোক যদি কোন জায়গায় অবতরণ করে উপরের দোয়াটি পড়ে, সে উক্ত জায়গা ত্যাগ করা পর্যন্ত কোন কিছুই তার অনিষ্ট করতে পারবে না। -সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত] ৩৪৩৭ | ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩৫৪৭), মুসলিম।
কোন মন্তব্য নেই